• শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৪৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
নাটোরে জেনিথ ইসলামী লাইফের ব্যবসা উন্নয়ন সভা অনুষ্ঠিত নারীদের বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়নের চিন্তা করলে ভুল হবে: সেনাপ্রধান বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস আজ আগুন দিতে গিয়ে দগ্ধ হওয়া সেই নেতাকে ছাত্রদল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার রমনা থানার সামনে হঠাৎ পুলিশের গাড়িতে আগুন ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুরান ঢাকায় ‘সন্ত্রাসী’ মামুনকে গুলি করা দুই শুটার গ্রেপ্তার অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী দেখামাত্র ব্রাশফায়ারের নির্দেশ সিএমপি কমিশনারের আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যত মামলা আছে তুলে নেওয়া হবেঃ মির্জা ফখরুল পপুলার লাইফের বীমা দাবীর চেক হস্তান্তর ও ব্যবসা পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত

পাঁচ বেসরকারি ব্যাংক একীভূত করার প্রস্তাব উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন

Un24admin
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৫

আনলিমিটেড নিউজ ডেস্কঃ পাঁচটি বেসরকারি ব্যাংক একীভূত করে একটি শরীয়াহভিত্তিক ব্যাংক গঠনের প্রস্তাব নীতিগতভাবে অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ।

বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকটি রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।

যে পাঁচ ব্যাংক একীভূত হয়ে নতুন ব্যাংক গঠিত হবে সেগুলো হলো—ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক।

পাশাপাশি ব্যাংক ও বীমা খাতে আমানত সুরক্ষা আইনকে যুগোপযোগী করে সংশোধনীও অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।

মূল্যায়ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, উল্লিখিত ব্যাংকগুলোর বিশাল অংকের শ্রেণীকৃত ঋণ বা বিনিয়োগ এবং মূলধন ঘাটতির কারণে বর্ণিত ছয়টি ব্যাংকের মধ্যে পাঁচটি ব্যাংককে মার্জার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সরকারি মালিকানায় শরীয়াহভিত্তিক একটি ইসলামি ব্যাংক স্থাপনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক অর্থ বিভাগকে অনুরোধ করেছে। তবে আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক পিএলসি-এর শেয়ার মালিকানা বিষয়ে উচ্চ আদালতে মামলা চলমান থাকায় আইসিবি ইসলামিক ব্যাংককে উক্ত প্রক্রিয়ার আওতা বহির্ভূত রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিগত এক বছরের অধিক সময় ধরে তারল্য সহায়তা প্রদান সত্ত্বেও ব্যাংকগুলোর আর্থিক অবস্থার কোনো উন্নতি ঘটেনি; বরং তাদের তারল্য সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে। ব্যাংকগুলোর মূলধন ঘাটতি, শ্রেণীকৃত বিনিয়োগ বা ঋণ ও অগ্রিমের হার, প্রভিশন ঘাটতি এবং তারল্য সংকট এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, তারা আমানতকারী ও অন্যান্য পাওনাদারদের প্রদেয় অর্থ পরিশোধ করতে পারছে না। এর ফলে ব্যাংকিং সেক্টরের প্রতি জনগণের আস্থা কমেছে, যা দেশের সামগ্রিক আর্থিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ।

উল্লিখিত পাঁচটি ব্যাংক স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার সম্ভাবনা না থাকায় আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার, ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা, আমানতকারীদের আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করার জন্য ব্যাংক রেজল্যুশন অধ্যাদেশ, ২০২৫ অনুযায়ী এ পাঁচটি সংকটাপন্ন ব্যাংককে রেজল্যুশন প্রক্রিয়ায় নিয়ে আসা আবশ্যক বলে মনে করছে অর্থ বিভাগ।

প্রস্তাবিত নতুন ব্যাংকটি বাণিজ্যিকভাবে ও পেশাদারিত্বের ভিত্তিতে পরিচালিত হবে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে নতুন ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে আনুমানিক ৩৫ হাজার কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধনের প্রয়োজন হবে। প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী, বেইল-ইন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিদ্যমান প্রাতিষ্ঠানিক আমানতকারীদের ১৫ হাজার কোটি টাকার আমানত মূলধনে রূপান্তর করা যেতে পারে এবং অবশিষ্ট ২০ হাজার কোটি টাকা সরকার মূলধন হিসেবে প্রদান করতে পারে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ