• শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৪৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
নাটোরে জেনিথ ইসলামী লাইফের ব্যবসা উন্নয়ন সভা অনুষ্ঠিত নারীদের বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়নের চিন্তা করলে ভুল হবে: সেনাপ্রধান বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস আজ আগুন দিতে গিয়ে দগ্ধ হওয়া সেই নেতাকে ছাত্রদল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার রমনা থানার সামনে হঠাৎ পুলিশের গাড়িতে আগুন ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুরান ঢাকায় ‘সন্ত্রাসী’ মামুনকে গুলি করা দুই শুটার গ্রেপ্তার অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী দেখামাত্র ব্রাশফায়ারের নির্দেশ সিএমপি কমিশনারের আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যত মামলা আছে তুলে নেওয়া হবেঃ মির্জা ফখরুল পপুলার লাইফের বীমা দাবীর চেক হস্তান্তর ও ব্যবসা পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত

চাকরিতে বয়সসীমা বাড়ানো পরিকল্পনা নেই: জনপ্রশাসনমন্ত্রী

Un24admin
আপডেটঃ : বুধবার, ৩ জুলাই, ২০২৪
চাকরিতে বয়সসীমা বাড়ানো পরিকল্পনা নেই: জনপ্রশাসনমন্ত্রী
চাকরিতে বয়সসীমা বাড়ানো পরিকল্পনা নেই: জনপ্রশাসনমন্ত্রী

আনলিমিটেড নিউজঃ চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা হলে বিভিন্ন পদের বিপরীতে চাকরি প্রার্থীর সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাবে, ফলে নিয়োগের ক্ষেত্রে আরও বেশি প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হতে পারে। এতে ৩০ বছরের কম বয়সী প্রার্থীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হতে পারে। তাই সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর পরিকল্পনা সরকারের নেই বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হেসেন।

বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে পিরোজপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য শামীম শাহনেওয়াজের প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রী এ কথা বলেন।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সেশনজট নেই উল্লেখ করে জনপ্রশাসনমন্ত্রী আরও বলেন, আগে বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বড় ধরনের সেশনজট থাকলেও বর্তমানে উল্লেখযোগ্য কোনো সেশনজট নেই বললেই চলে। শিক্ষার্থীরা ১৬ বছরে এসএসসিসহ ২৩-২৪ বছরে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করে থাকে।

তিনি বলেন, চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর হওয়ার ফলে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পরও তারা চাকরিতে আবেদনের জন্য কমপক্ষে ৬-৭ বছর সময় পেয়ে থাকে। এ ছাড়া ৩০ বছর বয়সসীমার মধ্যে একজন প্রার্থী আবেদন করলে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে ২-১ বছর লেগে যায়। ফলে চাকরিতে যোগদানের জন্য ন্যূনতম বয়স ৩০ বছর থেকে ৩৫ বছর করার যে দাবি করা হচ্ছে প্রকৃত পক্ষে তার কাছাকাছি পর্যায়ে উপনীত হয়।

পাবলিক সার্ভিস কমিশনের রিপোর্টের প্রসঙ্গ টেনে মন্ত্রী বলেন, ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় বিভিন্ন স্তরে উত্তীর্ণ প্রার্থীগণের বয়স ও জেন্ডারভিত্তিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী কম বয়সী (২৩-২৫) সুপারিশকৃত প্রার্থীর সংখ্যা সব থেকে বেশি (৩৭.৬৮%) এবং বেশি বয়সী (২৯–এর ঊর্ধ্বে) সুপারিশকৃত প্রার্থীর সংখ্যা সবচেয়ে কম ১.৭১%)।

কোটা নিয়ে ২০১৮ সালের পরিপত্র বহালের দাবিতে শাহবাগে সড়ক অবরোধ নিয়ে মন্ত্রী জানান, চাকরি থেকে অবসরের বয়সসীমা ৫৭ থেকে ৫৯ বছরে উন্নীত হওয়ায় বর্তমানে শূন্যপদের সংখ্যা স্বাভাবিকভাবেই কমে গেছে। এ প্রেক্ষাপটে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা হলে বিভিন্ন পদে বিপরীতে চাকরি প্রার্থীর সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাবে।

তিনি বলেন, এতে নিয়োগের ক্ষেত্রে আরও বেশি প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হতে পারে। এতে করে যাদের বয়স বর্তমানে ৩০ বছরের ঊর্ধ্বে তারা চাকরিতে আবেদন করার সুযোগ পেলেও অনূর্ধ্ব ৩০ বছরের প্রার্থীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হতে পারে।

এসব শিক্ষার্থীর কথা বিবেচনা করে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার কোনো পরিকল্পনা আপাতত নেই বলে মন্ত্রী জানান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ