আনলিমিটেড নিউজ: অর্থপাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ ব্যবস্থার সূচকে পাঁচ ধাপ উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। ব্যাসেল অ্যান্টি মানিলন্ডারিং (এএমএল) ইনডেক্স-২০২৩ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। ২০২৩ সালের এই সূচকে বাংলাদেশ পাঁচটি দেশকে পেছনে ফেলে র্যাংকিংয়ের ৪১ নম্বর থেকে ৪৬ নম্বরে জায়গা করে নিয়েছে।
এএমএল সূচক অনুযায়ী, অর্থপাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ ব্যবস্থায় সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে সবার উপরে রয়েছে লাতিন আমেরিকার দেশ হাইতি। এর পরেই দুই নম্বরে রয়েছে মধ্য আফ্রিকার দেশ চাদ। এছাড়া তিনে মিয়ানমার ও চার নম্বরে রয়েছে মধ্য আফ্রিকার আরেক দেশ কঙ্গো।
সূচক অনুযায়ী, অর্থপাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ ব্যবস্থায় সবচেয়ে কম ঝুঁকিপূর্ণ দেশ আইসল্যান্ড (১৫২তম)। বর্ণিত সূচকে বাংলাদেশ ২০২২ সালেও ২০২১ সালের তুলনায় আট ধাপ উন্নতি করেছিল। ২০২৩ সালেও আগের বছরের তুলনায় পাঁচ ধাপ এগোলো। তালিকায় চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য যথাক্রমে ২৭, ১১৯ ও ১৪০তম অবস্থানে রয়েছে।
সম্প্রতি সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক দ্য ব্যাসেল ইনস্টিটিউট অন গভর্নেন্স বিশ্বের ১৫২টি দেশের মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন ঝুঁকি নিরূপণ করে গত ১৩ নভেম্বর এই ইনডেক্স প্রকাশ করে। ২০২২ সালের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে এএমএল।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশের মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ সূচকে উন্নয়নের কারণ হিসেবে আর্থিক খাতের স্বচ্ছতা বৃদ্ধি এবং মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ কাঠামোর মানোন্নয়নের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে, বাংলাদেশ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক অঙ্গীকার, আন্তঃসংস্থার কাজের সমন্বয়, আর্থিক খাতে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে বাংলাদেশ সরকারের পর্যাপ্ত লোকবল ও অর্থের সংস্থান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
এপিজি’র মিউচ্যুয়াল ইভালুয়েশন রিপোর্ট মোতাবেক বাংলাদেশ এফএটিএফ-এর ৪০টি সুপারিশের বিপরীতে ৮টিতে কমপ্লায়েন্ট, ২৭টিতে লার্জলি কমপ্লায়েন্ট এবং ৫টিতে পার্শিয়ালি কমপ্লায়েন্ট রেটিং পেয়েছে। বাংলাদেশ এফএটিএফের ৪০টি সুপারিশের সবকটিই বাস্তবায়ন করেছে।
সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক ব্যাসেল অন গভর্নেন্স গত ১২ বছর ধরে কোনো একটি দেশের পাঁচটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে ব্যাসেল এএমএল ইনডেক্স নির্ধারণ করে থাকে। পাঁচটি বিষয়ের মধ্যে রয়েছে- মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ ব্যবস্থার পরিপালনে ৬৫ শতাংশ, ঘুস ও দুর্নীতিতে ১০ শতাংশ, আর্থিক স্বচ্ছতা ও মানদণ্ডে ১০ শতাংশ, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতে ৫ শতাংশ এবং আইনগত ও রাজনৈতিক ঝুঁকিতে ১০ শতাংশ।
Leave a Reply