• মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ০৬:৩১ পূর্বাহ্ন

৫০০ সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ২৪ ঘণ্টা সার্ভিস শুরু হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

Un24admin
আপডেটঃ : শুক্রবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৩

আনলিমিটেড নিউজঃ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, মা ও শিশু মৃত্যুহার কমিয়ে আনতে আমরা ৫০০টি সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র ২৪ ঘণ্টা সার্ভিস শুরু করেছি। পর্যায়ক্রমে আরো ৪০০টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ২৪ ঘণ্টা সেবা চালু করা হবে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিন্টো রোডের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে ৯-১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ‘পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ’ পালন উপলক্ষে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ এর আয়োজন করে।

জাহিদ মালেক, দেশে এখনো ৬৫ হাজার শিশু এবং সাড়ে ৪ হাজার মা বছরে মাতৃত্বকালীন মারা যায়। এই সংখ্যা অনেক। যদিও গত বছরের তুলনায় এবার আমরা অন্তত ৫ ভাগ মা ও শিশু মৃত্যু হার কমাতে সক্ষম হয়েছি। বছরে এতো মৃত্যু কোনোভাবেই কাম্য নয়। এখন আমাদের আগামীর লক্ষ্য পূরণ করতে হবে। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে মাতৃমৃত্যু হার ৭০ শতাংশ কমাতে হবে ও শিশু মৃত্যুহার অর্ধেকে নামিয়ে আনতে হবে। তবে এই লক্ষ্য অর্জন করতে হলে আমাদের অবশ্যই বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ করতে হবে। মায়েদের হোম ডেলিভারির পরিবর্তে প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারির দিকে মনোযোগী হতে হবে। সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোকে ২৪ ঘণ্টা সার্ভিস ব্যবস্থায় কাজ করতে হবে।

বর্তমানে প্রাইভেট স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে আশংকাজনক হারে সিজারিয়ান ব্যবস্থা বেড়ে গেছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে এখন সিজারের হার আশংকাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিনা কারণেই অনেক মায়েরাও সিজার করে বাচ্চা নিতে আগ্রহী। এটি কাম্য নয়। একবার সিজার করে বাচ্চা নিলে ঐ মায়ের পরবর্তীতে বাচ্চা ডেলিভারিতে সমস্যা হতে পারে। এছাড়া সারাজীবনের জন্য অন্যান্য সমস্যা নিয়ে চলতে হতে পারে। এটি এভাবে চলতে পারে না। দেশে হোম ডেলিভারি এবং সিজার করে বাচ্চা নেয়া অর্ধেকের বেশি কমাতে আমাদের সবার একযোগে কাজ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ৬ দিনব্যাপী পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ, মহাপরিচালক শিক্ষা প্রফেসর টিটু মিয়া প্রমুখ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ