আনলিমিটেড ডেস্ক নিউজঃ আমার বন্ধু দীপু—কোন শব্দে তোকে নিয়ে লিখবো, কোন ভাষায় তোর পরিবারকে সান্ত্বনা জানাবো ভেবে পাচ্ছি না। একদিন আমাদের সবাইকে পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হবে এটাই নির্মম সত্য। কিন্তু তুই এত তাড়াতাড়ি চলে যাবি সেটা আমার চিন্তার ঊর্ধ্বে ছিল।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার বড় ছেলে সাজেদুল হোসেন চৌধুরী (দীপু) সম্প্রতি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। ঢালিউড কিং শাকিব খানের বন্ধু ছিলেন দীপু। বন্ধুর অকাল মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না শাকিব। বন্ধুকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছেন তিনি। মঙ্গলবার (০৫ ডিসেম্বর) বিকেলে বন্ধু দীপুকে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে দীর্ঘ এক স্ট্যাটাস দিয়েছেন শাকিব।
তিনি লেখেন, এইতো কিছুদিন আগে তোর অফিসে নিয়ে গেলি, তোর সন্তানের এনিমেটেড সিনেমার কাজ দেখালি; আগামীতে কত কি করতে চাস সেইসব স্বপ্নের কথাগুলো বললি। সেই তুই হঠাৎ করে সবাইকে চিরদিনের জন্য ছেড়ে চলে গেলি! তুই নেই সেটা মানতে এখনো আমার কষ্ট হচ্ছে।
আমি যেখানে থাকতাম কিছুদিন পর পর ফোন করে খবর নিতি। কেমন আছি, কবে আসবে, কবে দেখা হবে, কত কিছু জানতে চাইতি। সেই তোকে যখন মর্গে গিয়ে দেখছিলাম, মনে হচ্ছিল একটু পরেই উঠে দোস্ত বলে ডাক দিবি। যেমনটা দেখা হলেই তোর বন্ধুত্ব আর ভ্রাতৃত্বের পরম ভালোবাসা আমি অনুভব করতাম।
যে বনানীর রাস্তা দিয়ে আমরা বহুবার একসঙ্গে যাতায়াত করেছি, সেখানে তোকে চিরদিনের জন্য সমাহিত করা হয়েছে। দূর থেকে শুধু তোর নিথর দেহকে দেখেছিলাম। তোর চলে যাওয়ায় আমি যে স্বজন হারানোর শূন্যতা অনুভব করছি সেটা বলে বোঝানোর উপায় নেই।
বন্ধু হিসেবে তোর ভালোবাসার শূন্যতা আমার জীবনে কখনো পূরণ হবে না। কারণ তুই যে কত বড় মনের অধিকারী এবং ভালো মানুষ ছিলি সেটা তোর শেষ বিদায়ে মানুষের ঢলই বলে দেয়। যতদিন বেঁচে থাকব তোকে খুব মিস করব রে দীপু। ওপারে অনেক ভালো থাকিস বন্ধু আমার। তোর বিদেহী আত্মার শান্তি ও দোয়া কামনা করি। মহান আল্লাহ তোকে জান্নাতবাসী করুন।
উল্লেখ্য, সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপু গত রোববার ব্রেন স্ট্রোক করলে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মৃত্যর আগ পর্যন্ত তিনি আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন। দীপু চৌধুরী ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন।
Leave a Reply