নূরে আলম জীবনঃ ভিন্ন মতের নামে দেশবিরোধিতা সহ্য করা হবে না বলে কঠোর হুসিয়ারি দিয়েছেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ। তিনি বলেন, গত এক মাস ধরে একটা অবৈধ দলের অবৈধ কর্মসূচি চলছে। তারা এক দিকে অবৈধ অবরোধ দিচ্ছে, অন্যদিকে রাস্তায় ট্রাফিক জ্যামের সৃষ্টি হয়েছে। এতে বোঝা যায় তাদের অবৈধ অবরোধ কর্মসূচি এদেশের জনগণ সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখান করেছে।
সোমবার দুপুরে নারিন্দা সাদেক হোসেন খোকা মাঠে সংসদীয় আসন ভিত্তিক অবস্থান কর্মসূচিতে ‘বিএনপি-জামাত কর্তৃক পুলিশ হত্যা, কাকরাইল মসজিদ ও রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে অগ্নিসংযোগ, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ও দেশপ্রেমিক সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও অবৈধ অবরোধের প্রতিবাদে’ আয়োজিত এক কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এই প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ।
শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, আমার একটি প্রশ্ন, এই হরতাল বা অবরোধের মানেটা কি? এই কর্মসূচির মাধ্যমে আসলেই কি সরকারের পতন ঘটানো সম্ভব? এটা কি কোন প্রতিবাদের প্রতীকি ভাষা? তাহলে জনগণের সম্পৃক্ততা কোথায়? জনগণের সম্পৃক্ততা ছাড়া এই কর্মসূচি অর্থহীন। আর যদি তারা সরকারের পতনই না ঘটাতে পারে তাহলে জনগণের দুর্ভোগ সৃষ্টি করে লাভ কি? এ ধরণের প্রশ্ন সাধারণ মানুষের সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, বিএনপি-জামাতের উদ্দেশ্য ছিল নির্বাচনকে বানচাল করা। যে কোনভাবে সরকারের পতন ঘটিয়ে একটি অনির্বাচিত সরকারকে গদিতে বসানো। এই দুই উদ্দেশ্য তাদের সফল হতে পারে নাই আমাদের যুবলীগের নেতা-কর্মীদের জন্য। এই সকল অপশক্তি যারা দেশবিরোধী, যারা এই দেশের অস্তিত্বকে বিশ্বাস করে না, যারা এখনও পাকিস্তানী ভাবধারার বাংলাদেশ সৃষ্টি করতে চায়, যারা মৌলবাদের পৃষ্ঠপোষক, যারা আমাদের সনাতন ভাই-বোনদের ওপর অত্যাচার করেছে এবং করার সুযোগ খোঁজে তাদেরকে যুবলীগের নেতা-কর্মীরা রাজপথে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতিহত করেছেন। আপনাদের কারণেই এই দেশবিরোধী অপশিক্ত ইঁদুরের গর্তে ঢুকে গিয়েছে। এই ইঁদুরের গর্ত থেকে বের হয়ে তারা দু একটি বাসে আগুন দিচ্ছে, ককটেল মারছে। তিনি বলেন, জনগণের সম্পদ নষ্ট করে জনগণের সমর্থন অর্জন করা যায় না। এই কৌশল কোন দিন কাজে দিবে না। আপনারা জানেন আমরা দাবি তুলেছি এই সন্ত্রাসী বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনকে নিষিদ্ধ করে তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা। কারণ আমাদের যুক্তি একটাই, এই দেশে কোন দেশবিরোধী, স্বাধীনতাবিরোধী, যারা এই দেশেল অস্তিত্বকে বিশ্বাস করে না তাদের তো রাজনীতি করার অধিকার নাই। এই দেশে আওয়ামী বিরোধী মতবাদ থাকতে পারে এবং ভিন্নমত গণতন্ত্রের অলংকার। আমরা বিশ্বাস করি একটি প্রগতিশীল, উদার মনার রাজনৈতিক দল সৃষ্টি হবে। যারা আওয়ামী বিরোধী হতে পারে, ভিন্নমতের হতে পারে কিন্তু দেশবিরোধী কোন শক্তি আমরা চাই না। ভিন্ন মতের নামে দেশবিরোধীতা সহ্য করা হবে না। এই দেশকে যারা মৌলবাদী দেশ বানাতে চায় এবং এই দেশের যারা ক্ষতি করতে চায় তাদেরকে এই যুবসমাজই প্রতিহত করবে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ সাইদ খোকন বলেন, সারাদেশে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে যুবলীগ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে বলে আমি বিশ্বাস করি। কারণ যুবলীগই পারবে সকল অপশিক্তকে প্রতিহত করে নৌকাকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিতে।
ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানার সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা’র সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ। এতে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিএসসিসির সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।
Leave a Reply