• শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ০২:১২ পূর্বাহ্ন

মাওয়া টোলপ্লাজায় মানুষের ঢল

Un24admin
আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৪
মাওয়া টোলপ্লাজায় মানুষের ঢল
মাওয়া টোলপ্লাজায় মানুষের ঢল

আনলিমিটেড নিউজঃ ঈদ ঘিরে নাড়ির টানে ছুটছে মানুষ। দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার ঘরমুখো মানুষ রাজধানী থেকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে পদ্মা সেতু হয়ে ছুটছে বাড়ির পথে। এতে মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) ভোর থেকে পদ্মা সেতুর মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে ঘরমুখো মানুষের ঢল পড়েছে। বিশেষ করে মোটরসাইকেলের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো।

সরেজমিন দেখা যায়, এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে গণপরিবহন, ব্যক্তিগত যানবাহনের পাশাপাশি যে যেভাবে পারছেন গন্তব্যে ছুটে চলেছেন। মাওয়া টোলপ্লাজা অভিমুখে মোটরসাইকেলের সারি। পদ্মা সেতুতে এ মুহূর্তে চালু রয়েছে সাতটি বুথ। বাড়তি চাপে সকালে দুটি বুথে মোটরসাইকেলের টোল আদায় করা হয়। তবে ১০টার দিকে যানবাহনের চাপ বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে একটি বুথে পারি দিচ্ছে মোটরসাইকেল। শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছে ট্রাফিক পুলিশসহ সংশ্লিষ্টরা। তবে পরিস্থিতি সামাল দিতে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।

বরিশালগামী যাত্রী ইয়াসির হোসেন বলেন, ‘আজ চাঁদ উঠলে আগামীকাল ঈদ হতো। তাই আজ বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলাম। সকাল সকাল রওয়ানা হয়েছি। অন্য গাড়ির চেয়ে মোটরসাইকেলে অনেকটাই স্বস্তিতে যাওয়া যায়। তাই মোটরসাইকেলে যাচ্ছি। ঈদে বাড়িতে যাচ্ছি এটাই বড় আনন্দের।’

ফাইজুল হক নামের আরেক যাত্রী বলেন, ‘নিজের বাইক আছে তাই বাইকে করে ভাইকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি ফিরছি। তবে টোলপ্লাজায় কিছুটা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এছাড়া পথে কোনো সমস্যা হয়নি।’

মাওয়া টোলপ্লাজায় মানুষের ঢল, মোটরসাইকেলের দীর্ঘ সারি

গোপালগঞ্জে যাবেন আসমা হক। তিনি বলেন, পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ করতে পারাটা আনন্দের। যানজটে যেন না পড়ি সেজন্য ঢাকা থেকে সকাল সকাল বের হয়েছি।

অন্য যাত্রী রবিউল বলেন, ‘আজ চাঁদ উঠলে আগামীকাল ঈদ। এজন্য রিস্ক নিতে চাই না। পরিবারের সদস্যদের জন্য পোশাক কিনেছি। সেগুলো নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি। আগের মতো আর ভোগান্তি নেই।’

এদিকে দক্ষিণবঙ্গের এ সড়কপথের সঙ্গে পদ্মা সেতু রেলপথ চালু হওয়ায় অনেকে ট্রেনে করে বাড়ি ফিরছেন। এতে স্বস্তির কথা জানিয়েছেন যাত্রীরা।

মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ জিয়াউল হায়দার বলেন, শেষ সময়ে গাড়ির চাপ পড়েছে অনেক। শৃঙ্খলা রক্ষায় আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা রয়েছে। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা নেই। বেলা বাড়লে চাপ কমে যাবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ