আনলিমিটেড নিউজঃ কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় মিলন হোসেন নামে এক যুবকের ৮ টুকরো মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার সকালে উপজেলার হরিপুর চর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় স্থানীয় কিশোর গ্যাং গ্রুপের এসকে সজীবসহ পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত মিলন দৌলতপুরের পূর্ব বাহিরমাদি গ্রামের মওলা বক্সের ছেলে। তিনি কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং এলাকায় পরিবার নিয়ে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
পুলিশ জানায়, দুইদিন আগে নিখোঁজ হন মিলন হোসেন। তার স্ত্রী কুষ্টিয়া মডেল থানায় এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ একটি মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে প্রথমে তিনজনকে আটক করে। আটকৃতরা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মিলনকে হত্যা করে হরিপুর এলাকায় পদ্মা নদীর চরে পুঁতে রাখার কথা স্বীকার করেন।
পরে এ ঘটনায় আরো দুইজনকে আটকের পর শুক্রবার রাতে তাদের নিয়ে পদ্মা নদীর চরে মরদেহ উদ্ধারে যায় পুলিশ। ঘন কুয়াশার কারণে রাতে উদ্ধার সম্ভব হয়নি। শনিবার সকালে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। চাঁদা আদায়ের দাবিতে অপহরণের পর এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
মিলনের স্ত্রী মিমি খাতুন বলেন, হাউজিং এলাকার সজল মিলনকে কল করে ডাকে। তার সঙ্গে দেখা করে বাসায় এসে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আবার বের হয়ে যায়। পরে সে নিখোঁজ ছিল। ওই দিনই কুষ্টিয়া মডেল থানায় জিডি করি। পরের দিন দুপুর পর্যন্ত আমার স্বামীর মোবাইল নম্বর খোলা ছিল। কিন্তু পুলিশ গুরুত্ব দেয়নি, গুরুত্ব দিলে আমার স্বামীকে জীবিত উদ্ধার করতে পারতো। আজ সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আমার স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি সোহেল রানা বলেন, টুকরো টুকরো করা মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
Leave a Reply